Novator School

অভিভাবকদের প্রতি সবিনয়ে পরামর্শঃ

বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত  করুন।
আপনার ছেলে,মেয়েকে সকাল ও সন্ধায় পড়ার টেবিলে বসান।
বই পড়ে খাতায় লিখান এবং লিখাগুলো চেক করুন।
অনলাইন ক্লাসপুলোতে অংশগ্রহণে নিশ্চিত করুন।
ক্লাস শেষ করার পর মোবাইলটি নিয়ে ফেলুন এবং ক্লাস শুরুর পূর্বে মোবাইল দিন।
মা ই পারবেন সন্তানের যথাযথ তন্তাবধান করতে । ;
লেখা পড়ার জন্য কোন প্রকার ছাড় দেবেন না।
যেকোন প্রয়োজনে শিক্ষকদের সহায়তা ও পরামর্শ নিন।
ভালো ছাত্র/ছাত্রীর খেতাব, জিপিএ-৫ সার্টিফিকেটের চেয়েও বেশি গরুতুবপূর্ণ ভালো মানুষ হওয়া, ভালো রেজাল্টের পাশাপাশি সন্তানকে ভালো ছাত্র ও ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন।
 শিক্ষাপ্রতষ্ঠানের নিয়মকাননের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন।
বাসায় শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করুন।
সন্তানের শিখন অগ্রগতির খোঁজখবর রাখুন
প্রত্যেক অভিভাবকের উচিত তার সন্তানের পর্যাপ্ত সময় দেওয়া। শিক্ষা বিষয়ে সর্বশেষ সংস্কার সম্পর্কে ভালোভাবে অবহিত করা। একজন দায়িত্বশীল অভিভাবক হিসেবে তার সন্তানের বিদ্যালয়ের প্রতিদিনের শ্রেণির কাজ, বাড়ির কাজ ও অনুশীলনমূলক পরীক্ষার অগ্রগতির খোঁজ রাখা প্রয়োজন। ফলে নিজ নিজ সন্তানেরা তাদের কাজের প্রতি আরও যত্নবান হবে।
অভিভাবক বিদ্যালয়ের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিদ্যালয়ের পড়াশোনার পরিবেশ উন্নয়নকল্পে তাঁরা শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরামর্শ প্রদান করুন।
 মোবাইলের ক্ষতিকর রেডিয়েশন প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়ে বাচ্চাদের দুই থেকে তিনগুণ বেশি ক্ষতি করে থাকে তাই বাচ্চাদের কাছে মোবাইল ফোন দিবেন না।
অভিভাবকের দায়িত্ব যেমন পরিবারকে ভরণ পোষণের জন্য অর্থ উপার্জন করা; ঠিক তেমনি আরও বেশি দায়িত্ব ও কর্তব্য- সন্তানের চলাফেরায় সুদৃষ্টি রাখা। সন্তান ঠিকমতো স্কুলে যায় কিনা, ঠিকমত লেখাপড়া করছে কিনা, কাদের সঙ্গে মিশছে তার তদারিক অবশ্যই করতে হবে।
ছেলেমেয়েকে যত বেশী সম্ভব সময় দেবেন – তাদের বন্ধু হবার চেষ্টা করবেন। পৃথিবীর প্রতিকূল পরিবেশে কোন অসুন্দর বা অকল্যাণকর ইঙ্গিতের সম্মুখীন হলে, তারা যেন প্রাণ খুলে সবার আগে আপনাকেই সে কথা জানাতে পারে।  
সাধারণ ভাবে আপনার   সন্তানকেই রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাবার অভ্যাস গড়ে তুলতে তাগিদ দেবেন। সেই সাথে, সকালে তারা যেন নাস্তার অন্তত এক ঘন্টা আগে ঘুম থেকে ওঠে এবং বিছানা ছাড়ে সে দিকে খেয়াল করবেন   ক্লাসে অমনোযোগী হবার দু’টো প্রধান কারণ হচ্ছে: রাতে দেরী করে ঘুমানো এবং সকালে “পরিপূর্ণ” নাস্তা না করে আসা।  


আপনার সন্তান যখন বড় হতে থাকবে তখনো ছোটবেলার মতো তাকে সমানভাবে সঙ্গ দিন। তারা বড় হয়ে গেছে ভেবে তাদের খেলাধূলাসহ সব কাজ থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখা থেকে বিরত থাকুন। যদি তাদের এড়িয়ে চলেন, তবে সে মানসিকভাবে বিরূপ মনোভাবাপন্ন হয়ে যাবে।
সিদ্ধান্ত গ্রহণে সন্তানকে সহায়তা করুন। সে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সঠিক উপায় আপনার কাছ থেকেই শিখবে। তাকে প্রতিশ্রুতি বা দিক-নির্দেশনা দিন, গাইড বা সঠিক নির্দেশক হিসেবে তাদের সঙ্গে কথা বলুন। যদি তারা কোনো কিছু করতে চায় বা কোথাও যেতে চায় তবে তাদের পরিকল্পনায় সহযোগিতা করুন।
আপনি যখন কোনো কাজের সিদ্ধান্ত নিবেন তখন সন্তানের মতামত জানুন। যেমন- আপনি একটি গাড়ি ক্রয় করবেন। সেক্ষেত্রে সন্তানের কাছ থেকে জানতে চেষ্টা করুন কি ধরণের গাড়ি তার পছন্দ ইত্যাদি। এতে তাদের মাঝে পরমর্শসূলভ অভ্যাগ গড়ে ওঠবে।
যদি সম্ভব হয় ঘরের একটা জায়গা তাদের জন্য নির্ধারিত করে দিন। যেখানে তাদের অর্জনগুলো তারা প্রদর্শন করতে পারে। সেখানে তাদের নাম লিখা থাকবে। যেমন- কোনো প্রতিযোগিতায় অর্জিত স্মারক বা উপহার সামগ্রী প্রদর্শন করে রাখার জন্য একটি শোকেস বা জায়গা নির্ধারণ করে দিন। যাতে তারা আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে যে, তারাও ভালো কিছু করতে পারে।     
আপনার সন্তানকে মতামত প্রদানের বা দ্বিমত পোষনের পদ্ধতি শিক্ষা দিন। তাদেরকে সামনে কখনো কথায় কথায় শপথ বাক্য বলা যাবে না। অথবা আক্রমনাত্মক কোনো শব্দ ব্যবহার করা যাবে না; যা তাদের মধ্যে এর কুপ্রভাব পড়ে। কেননা সন্তানরা সব সময় অনুকরণ প্রিয়।
সব সময় সন্তানের সঙ্গে করা প্রতিটি ওয়াদা বা প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করুন। সন্তানের সঙ্গে এমন কোনো ওয়াদা বা প্রতিজ্ঞা করবেন না, যা করতে আপনি অপারগ।
আপনার সন্তানকে শিখান, কিভাবে একটি দলের সদস্য হিসেবে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হয়। দলগতভাবে সফলতা লাভ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে প্রতিযোগিতার পরিবর্তে তার জীবনের সুপ্ত প্রতিভা খুঁজতে সহায়তা করে।
 সন্তানকে বলুন- তুমি যদি কোনো বিষয়ে সফল না হও। তথাপিও হতাশ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাকে শিখান কিভাবে ব্যর্থতার বিপরীত সফল হওয়া যায়।
বাড়িতে তার ভালো কাজের জন্য আপনার সন্তানকে পুরস্কৃত করুন। তার ভালো কাজের ব্যাখ্যা করে জানিয়ে দিন যে, তাকে কোনো ভালো কাজের জন্য পুরস্কৃত করেছেন।

 

শিশুর মেধাবিকাশে করণীয়:
বকা দেয়া ও মন্দ কথা থেকে বিরত থাকুন।
সন্তানদের আদর করুন। কোন বিষয়ে জোর করা থেকে বিরত থাকুন।
মোবাইল বা কম্পিউটারে গেম খেলতে না দিয়ে তাকে বন্ধুদের সাথে মিশতে দিন এবং তাকে মাঠে খেলতে যাওয়ার জন্য উৎসাহ দিন।
স্বাস্থ্য, মন ভালো রাখা সহ মস্তিষ্কের সুস্থ বিকাশের জন্য তাড়াতাড়ি ঘুমানো এবং খুব সকালে ঘুম থেকে উঠার কোনো বিকল্প নেই।
আপনার সন্তানকে বাইরের খাবার না দিয়ে বাড়িতে বানানো স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর খাবার খেতে দিন। এতে করে তার দ্রুত মেধা বিকাশ ঘটবে।
আপনার সন্তানকে কখনোই ভাবতে দিবেন না যে, তার কাজ করার যোগ্যতা নেই। কখনোই আপনার সন্তানের সামনে অন্যের সন্তানকে বড় করে দেখাবেন না।
আপনার সন্তানের জানার আগ্রহকে বাড়িয়ে দিতে প্রশ্ন করার প্রতি উৎসাহিত করুন। সন্তানের করা প্রশ্নের সুন্দর তথা ইতিবাচক উত্তর দিন। অন্যথায় তারা ভুল উত্তর গ্রহণের প্রতি ঝুঁকে পড়বে। তাদের প্রত্যেকটি প্রশ্নের প্রসংশা করুন।
আপনার সন্তানদের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। নিজে দেখে ও বেছে বেছে তাদের জন্য বই কিনবেন। নবীদের জীবনী, সাহাবীদের জীবনী, বিভিন্ন মনিষীদের , বিজ্ঞানীদের  ও দার্শনিকদের জীবনী, ভ্রমণকাহিনী, এডভ্যাঞ্চার ইত্যাদি খুঁজে বের করে কিনবেন – প্রয়োজনে তাদের বই পড়ে শোনাবেন।
আপনার সন্তানের জন্য সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা করবেন। আমরা বুঝি, এখনকার নাগরিক ঢাকায় যেখানে তিল ধারণের ঠাঁই নাই, সেখানে এককালের খেলার মাঠগুলো আজ “ইঁটের জঙ্গলে” পরিণত হয়েছে। তবু সময় ও সুযোগ বের করে অন্তত ছেলে সন্তানদের, সপ্তাহান্তে হলেও, বিরল খেলার মাঠগুলোতে বা খোলা জায়গায় নিয়ে যাবেন – কিছু খেলার সরঞ্জাম সাথে নিয়ে। গোটা পরিবার নিয়ে যত ঘন ঘন সম্ভব প্রকৃতির মাঝে, প্রকৃতির কাছে যাবেন । 
সন্তানের প্রশংসা করুন যদিও সে কোনো কাজে ১০-এর মধ্যে ৪ পায়। এমনকি অন্যদের সামনেও সন্তানের প্রশংসা করুন।
সন্তানের আগ্রহকে গুরুত্ব দিন সে যেটা পছন্দ করে তাকে সেটাই করতে দিন বা হতে দিন
তারা আশেপাশে যারা সফল ব্যক্তি কবি সাহিত্যিক বিজ্ঞানী আদর্শবান ব্যক্তিত্ বতাদের সফলতার গল্পগুলো তাকে শোনান তাদের সাথে সাক্ষাৎ করাতে নিয়ে যান, অথবা ইউটিউবে তাদের বিভিন্ন সাক্ষাৎকার পাওয়া যায় সেই ভিডিওগুলো তাদেরকে দেখান।
মেধা বিকাশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে পুষ্টিকর খাবার সুতরাং খাবারের ব্যাপারে সাবধান হওয়া খুবই জরুরী, প্রয়োজনে কোনো পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে পারেন।
সন্তানকে সব সময় একটি সহযোগিতামূলক এবং আনন্দঘন পরিবেশে রাখার চেষ্টা করবেন,মনে রাখবেন সমালোচনা, ঝগড়াঝাঁটি আপনার সন্তানের মেধাবিকাশের প্রধান অন্তরায়।


 

সন্তানকে ভদ্র ও মার্জিত এবং আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে:

সন্তানের সামনে কারো সমালোচনা, গীবত করা থেকে বিরত থাকুন
ধর্মের শাশ্বত সুন্দর কথাগুলো শিশুবয়স থেকেই তাকে বলুন।
শিশুরা অনুকরণ প্রিয়। বড়রা যা করে; তা দেখে দেখে শিশুদের মাঝে সে অভ্যাস গঠন হয়। তাই শিশুদের সঙ্গে পরিবারের সদস্য,বাবা-মা অথবা অভিভাবকের আচরণ মার্জিত, সুন্দর এবং শিক্ষণীয় হওয়া আবশ্যক।
শিশুদের সঙ্গে এমন কোনো আচরণ করা যাবে না; যা তাদেরকে বিপথগামী করে বা তাদের কচি মনে কোনো অযাচিত প্রশ্নের উদ্রেক হয়।
 সবসময় আপনি সন্তানের সঙ্গে কথা বলুন। কথা বলুন মায়া-মমতা ও স্নেহের সঙ্গে। যেমন তাকে বলুন- ধন্যবাদ, শুকরিয়া ইত্যাদি। কখনো তাদের সঙ্গে অভদ্র ভাষা বা শব্দ ব্যবহার করবেন না। যেমন- কোনো জিনিস চেয়ে বলবেন না যে, ‘দে, যা’ ইত্যাদি। বরং তাদের সঙ্গে বিনয় ও নম্রতার সঙ্গে বলুন- দাও, যেতে পার, খেয়ে নাও ইত্যাদি।
আত্মবিশ্বাসী ও পরিশ্রমী হতে শেখান, সন্তানকে ছোট ছোট দায়িত্ব দিন, পরিবারের ছোট ছোট কাজ তাকে শিখিয়ে দিন এবং তাকে দিয়ে করিয়ে নিন, এর ফলে তার মধ্যে পরিশ্রমী ও আত্মবিশ্বাসী হওয়ার মানসিকতা গড়ে উঠবে।
ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করুন
অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবেন না
বিনয়ী হতে শেখান
পরিশ্রমের মূল্য সম্পর্কে ধারণা দিন। 
 সন্তান একটু বড় হলে তাকে নিজ ধারায় কাজ করতে দিন। যেকোনো কাজ তারা নিজস্ব পদ্ধতিতে করবে। সেখানে ভুল থাকলে শুধরে দিতে হবে।